বেশ অনেকদিন অপেক্ষার পর গতকাল Hotel Transylvania 2 দেখলাম।
শুরুটা as expected চমৎকার ছিল। কিন্তু ঘটনা যতই শেষের দিকে যাচ্ছিল ততই আশাহত হচ্ছিলাম। নিঃসন্দেহে “Hotel Transylvania” ড্রামাটিক, রোমান্টিক এবং দারুণ কমেডি নির্ভর মুভি ছিল। কিন্তু এর সিক্যুয়াল হিসেবে এই পর্বে ড্রামাটিক এনিমেশন থাকলেও কমেডি আর রোমান্টিসিজম অনেকাংশেই অনুপস্থিত ছিল।
Adam Sandler নিজে চমৎকার একজন কমেডি অভিনেতা। আর সেই ধারাই বজায় ছিল এই এনিমেশন মুভির প্রথম পর্বটিতে। কিন্তু দ্বিতীয় খণ্ডে এসে তার সেই কমেডি ধাঁচের দুষ্টামিতে অনেকটাই ভাটা পড়েছিল।
ড্রাকুলারের মেয়ে চরিত্র ‘Mavis’ এখানে চমৎকার মনে হয়েছে। সে একই ধারে বাবা’র মেয়ে হিসেবে ভালোবাসায় সিক্ত এবং তার সন্তানের জন্যে অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখিয়েছে। মুভিতে সে তার সন্তানকে নিজের মত করে ‘স্বাভাবিক’ করে বড় করার জন্যে সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত অনুসারেই সে তার বাবার হোটেল তথা ‘ড্রাকুলা অরণ্য’ ছেড়ে তার স্বামী ‘Jonathan’ এর শৈশব কাটানো শহরে ছুটে যায়। নিজে থেকে সন্তানের জন্যে একটা নিরাপদ ভুবন নির্বাচনের জন্যে উদগ্রীব হয়ে উঠে। চরিত্রের এই অংশটাই এই মুভির মুল আকর্ষণ মনে হয়েছে। যেখানে সে নিজে ড্রাকুলা হয়েও মন থেকে নিজের সন্তানকে একজন ‘মানুষ’ রূপে সে দেখতে চেয়েছে। নিজের অস্তিত্বকে তার সন্তানের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করেনি।
‘Jonathan’ এই মুভিতে নায়কের ভূমিকায় থাকলেও তাকে সবসময়ই আমার সহায়ক চরিত্র হিসেবেই মনে হতো, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বাকি চরিত্রদের মধ্যে এইবারে ঘটনার প্রেক্ষিতেই বেশ স্বাভাবিকতা দেখা গেছে। কিন্তু তারা সবই নিজেদের ভয় দেখানোর ক্ষমতা হারিয়েছে। তবে সেইটা নিয়ে নিজেদের মাঝে কোন ধরণের আক্ষেপ দেখা যায়নি, বরং এই ব্যাপারটাকেই তারা বেশ উপভোগ করেছে।
শেষ অংশটাতে পরিবারের বন্ধনটাকেই বড় করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবার, তা যেমনই হোক, যত রকম ভিন্নতাই থাকুক না কেন এদের মাঝে, দিন শেষে সবই পরিবারের সদস্য। আর এই ব্যাপারটাই মুভির শেষে আরও একবার স্পষ্ট করে বুঝতে পারবে দর্শকেরা।
যাই হোক, আশানুরূপ নাহলেও মুভিটি একেবারেই ফেলে দেবার মত নয়। তবে কেউ যদি আমার মত মুভিটার প্রথম খণ্ডের মত চমৎকার কমেডি মুভির জন্যে মুখিয়ে থাকে তারা মুভিটি দেখার পর কিছুটা হলেও হতাশ হবে। তবে কেউ যদি দেড় ঘণ্টা নষ্ট করে মুভিটা না দেখে তবে সে প্রকৃত অর্থেই অনেক কিছুই মিস করে যাবে।