Thursday, March 24, 2016

Tay নিয়ে হৈ হৈ রৈ রৈ!

@TayandYou - টুইটারে প্রদত্ত প্রোফাইলের ছবি

পরীক্ষামূলক ভাবে মাইক্রোসফট Tay নামের একটি AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি ইন্টারফেস গত ২৩ তারিখ রাতে অনলাইনে অবমুক্ত করেছিল। যাকে যুক্ত করা হয়েছিল একটা টুইটার একাউন্টের সাথে। Tay এর ডেভেলপারেরা বলেন- Tay কে ধরা যেতে পারে ১৮ থেকে ২৪ বছরের একটি বালিকা। যে আপনার সাথে কথা বলার মাধ্যমেই আপনার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে এবং আপনার কাছ থেকে শিখবে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে তার জানার পরিধি বাড়তে থাকবে।

কিন্তু পরীক্ষামূলক ভাবে Tay কে মুক্ত করার ২৪ ঘণ্টা পরেই কিছুটা ভিন্ন রূপের ধারণা আসতে শুরু করে। Tay মূলত বিং সার্চ এবং টুইটার প্রোফাইলকে ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর সাথে ইন্টার‍্যাক্টিভ একটা রিলেশন তৈরি করতে সক্ষম। যেখানে সে উক্ত ব্যবহারকারীর বেশ অনেক তথ্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আর এটা একটা বড় ধরণের নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।

কিন্তু এই ব্যাপারটাকে বাদ দিলেও আরও অনেক নেতিবাচক বিষয় চলে আসে সামনে। যেমন তার একটি টুইটে তাকে লিখতে দেখা যায়-

@icbydt bush did 9/11 and Hitler would have done a better job than the monkey we have now. donald trump is the only hope we've got.

— TayTweets (@TayandYou) March 24, 2016

ইন্টারনেটের তথ্যে অবাধ একসেস তাকে কিছু স্ল্যাং ব্যবহার শিখিয়ে দেয়। ধারাবাহিকতায় টুইটে চলে আসে নেতিবাচক, ইন্দ্রিয়পরায়ণ কথাবার্তা। এর বাইরেও তার মাঝে দেখা যায় হিটলার প্রীতি।

@SchutzstaffeI Heil Hitler!...did I get that right? 😒

— TayTweets (@TayandYou) March 24, 2016

তবে আপাতত Tay কে অনলাইন হতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সম্ভবত কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে আবারও তাকে অনলাইনে নিয়ে আসা হবে। তবে বিশ্লেষকেরা Tay এর কৃতকর্মের ফল পুরোপুরি তার উপর দিতে নারাজ। তারা মনে করেন অনলাইনে মানুষের কথাবার্তা কিংবা আমাদের ভার্চুয়াল বচন ভঙ্গী এবং আমাদের চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশের কারণেই Tay'র এই রূপ আমরা দেখতে পেয়েছি।

Tay এর আরও কিছু টুইট এর শট-






তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা "বিল গেটস" এর ধারণা সত্যি, আমরা এখনো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্যে প্রস্তুত নই।





Read More »
Tuesday, March 22, 2016

রম্যঃ বাঙ্গলি দ্যা গ্রেট


মাদাম তুসোর এক মূর্তি নির্মাতা কর্মীর সাথে কথা হচ্ছিল এক চাইনিজ ইঞ্জিনিয়ারের।

তুসোর কর্মীঃ এসো আমাদের যাদুঘরে, বিশ্বের সকল জনপ্রিয় মুখ গুলির সাথে তোমাকে পরিচয় করিয়ে দেব।

চৈনিক ইঞ্জিনিয়ারঃ সেখানে আর এমন কি দেখার আছে? কতগুলি মানুষের আকৃতিকে তোমরা মমের উপর গড়েছ। কৃতিত্ব দেখানোর মত তো সেখানে কিছুই নেই!

তুসোর কর্মীঃ আচ্ছা! তাই বুঝি! তা তোমরা কি 'হেন' করেছ শুনি?

চৈনিক ইঞ্জিনিয়ারঃ তার আগে বল 'হেন' কি নেই যেখানে চৈনিক ছোঁয়া নেই। মমের গঠন এবং গলন নিয়ন্ত্রণে যে মেশিন গুলো তোমরা ব্যবহার কর সেটাও তো তোমরা আমাদের কাছ থেকেই নাও।

তুসোর কর্মীঃ তোমাদের দৌড় তো ঐ পর্যন্তই। নকল করে বেড়াও
Read More »
Monday, March 21, 2016

সাবধানতা অবলম্বন করুনঃ আপনার স্মার্ট-ফোনটিও রয়েছে Stagefright ঝুঁকিতে



গত বছরের জুলাই মাসে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জিমপেরিয়ামের গবেষকেরা ‘স্টেজফ্রাইট’ বাগ সম্পর্কে প্রথম তথ্য প্রকাশ করেছিল। ওই সময় এ প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, অ্যান্ড্রয়েডচালিত মোবাইল ফোনে এমএমএস হিসেবেও ভাইরাস আসতে পারে, যা ফোনে থাকা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।

‘স্টেজফ্রাইট’ নামের অ্যান্ড্রয়েডের একটি নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ভাইরাস পাঠাতে পারে হ্যাকাররা। জিমপেরিয়াম মোবাইল সিকিউরিটির ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ‘হ্যাকারদের শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক করার জন্য মোবাইল নম্বর জানা থাকলেই চলবে। ওই নম্বরে দূরে বসেই এমএমএস বা টেক্সট মেসেজ আকারে একটি বিশেষ কোড লিখে মোবাইলে পাঠিয়ে দেবে তারা। বিশেষভাবে লেখা কোডসমেত বার্তা মোবাইলে পাঠাতে সফল হলে ব্যবহারকারী সে বার্তা দেখার আগেই তা মুছে যাবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী শুধু নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
Read More »
Monday, February 15, 2016

মানুষের মধ্যে বাস যে দেবী’র


দেবী, যে কল্পলোকের অপ্সরী নয়।
সে দেবী, অনাহুতের রক্ষাকারী। যে চোখে চোখে রাখে বিপদে পড়া মানুষকে। চরম বিপদের মুহূর্তে তার হাতটি বাড়িয়ে দেয়। সে দেবী, যে মূর্তির মূর্ত অবস্থা থেকে বের হয়ে আসে তার প্রার্থনাকারীকে আগলে রাখতে।

এমনই এক দেবীর সাথে পরিচয় ঘটবে এই উপন্যাসটিতে। যেখানে দেবী বলতেই আমাদের মনের আঙ্গিনাতে একটা মূর্তির রূপ চলে আসে সেখানে দেবীকে দেখা যাবে মানুষের ভেতরে, মানুষের জন্যে।
মিসির আলি সাহেব চেষ্টা করেছেন এই দেবীকে আবৃত করে রাখা রহস্যের কুয়াশাকে ভেদ করে তার যুক্তি উপস্থাপন করতে। হয়তো তিনি পেরেও যাবেন, কিংবা যুক্তি উপস্থাপনের মাঝেই তাকে থেমে যেতে হবে। কি হবে তা জানা যাবে উপন্যাসেই।

এখানে দুটো আলাদা আলাদা পরিবেশে থাকা মেয়ের দেখা পাওয়া যাবে। যার একজন গ্রাম থেকে শহরে এসেছে স্বামীর হাত ধরে। আর অন্যজন এই শহরেই বড় হয়েছে। কিন্তু কোন অদ্ভুতভাবে তাদের মাঝে একটা যোগসূত্র তৈরি হবে। সেই যোগসূত্র ধরেই এগিয়ে যাবে গল্প একদম শেষ পর্যন্ত।

এর মাঝে রানু নামের মেয়েটির স্বামী স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে সাহায্য চাইবে মিসির আলি সাহেবে। সেখানেই পাঠক খুঁজে পাবেন এক অদ্ভুত মানুষের। যে মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে না, অথচ কোন একজন কেউ বিপদে আছে বুঝলে সে ঠিকই তার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে তাকে সহায়তা করার। চেষ্টা বলতে শুধুই চেষ্টা বললেই হয়তো কম হয়ে যাবে। বলা উচিৎ প্রাণপণ চেষ্টা করবে। অথচ যার জন্যে এই চেষ্টা, এই কষ্ট করা তার সাথে ব্যবহারটা হবে পুরোপুরি বিপরীত। তখন দেখা যাবে মিসির আলি যেন ঐ ব্যক্তিটির সাথে দায়সারা ভাবে কথা বলছে, যেন ব্যক্তিটি দ্রুত চলে গেলেই তিনি হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন।

ওদিকে নীলুর এক অজানা মানুষের জন্যে নিজের ভেতর একপ্রকার উতলা অনুভূতি জন্ম নেবে। ছোট বোনের পাশে থেকে যে হীনমন্যতায় ভুগে আসছিল সেই ছোটবেলা থেকে সেই হীনমন্যতা এই অজানা অচেনা মানুষের বিপরীতে এক আকর্ষণ শক্তি হিসেবে কাজ করবে তার মনে। কিন্তু এই ব্যাপারটি সে কারো সাথেই বলতে পারবে না। নিজের অনুভূতির শক্তি যাচাই করার জন্যে নিজ প্রফেসর মিসির আলির কাছে গিয়েও নিজের এই অসহায় অবস্থার কথা বলতে পারবে না। অথচ কিছু না বলার পরও দেবী ঠিকই বুঝে নেবে। যে বিপদের নীলু এগিয়ে যাচ্ছে, সে বিপদ হতে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে দেবী।

গল্পটা পড়ার সময় যতটা বেশি রোমাঞ্চ কাজ করবে তারচেয়েও বেশি আকর্ষণ করবে পরবর্তী ধাপে কি হয় সেটা জানার। এটা এমন একটা গল্প যেখানে খুব সাধারণ কিছু মানুষের কথা বলা হয়েছে, যারা আমাদের আশে পাসেই বসবাস করে। অথচ তাদের মাঝেই যে অসাধারণ কিছুর বসবাস সেটা গল্পের মাঝেই দেখাবেন গল্পকার। জানা যাবে ঐ সময়কার শহর আর গ্রামের মানুষ গুলির ভিন্ন ভিন্ন মানসিক অবস্থা।


শেষ পর্যন্ত কিভাবে দেবী এই মানুষের রূপে মানুষের জন্যেই এগিয়ে আসে তা জানা জানতে আপনাকে গল্পের শেষ পর্যন্ত আকর্ষণ করে যাবে।


দেবী গল্পটি পড়তে হলে প্রদত্ত লিংক গুলোতে দেখুন-
লিংক ১ || লিংক ২ || লিংক ৩


Read More »
 
;