Saturday, November 16, 2013

চাইনিজদের নিয়ে একটা তথ্য এবং ছোট্ট একটি কৌতুক



চায়নিজদের বেশ কিছু জিনিষ আছে যা মজার ঘটনায় রূপান্তরিত হয়। আসলে ভিন্ন দেশ আর ভিন্ন দেশের সংস্কৃতি আয়ত্বে এনে চলা এত সহজ নয়। সেটা চাইনিজদের এই কাজগুলি দেখলেই বোঝা যায়। তো এমন কিছু ঘটনাই বলি আজ-


কোন ফরেনারের মুখ থেকে যদি একটা চাইনিজ শব্দ বের হয়! সাথে সাথে তারা অভিনন্দনসূচক কিছু ডায়ালগ দেয়া শুরু করে। 
যেমন- 
থাই হাও লা, 
পু-ছুঅ, 
থিং হাও, 
চিন-পু হেন হাও.


ফরেনারের সাথে পরিচিত হওয়ার সময় সব চাইনিজই কিছু কমন প্রশ্ন করে যার মধ্যে-

  • "বয়স কত?" 
  • "BF/GF আছে কিনা?"
  • "বেতন কত?"
  • কিংবা গিফট হিসেবে কিছু দেওয়ার সময় জিনিসটার দাম জিজ্ঞেস করবে!


এ প্রশ্নগুলি যে অস্বস্তিকর তা বুঝতে পারে না।

আপনি চাইলে এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর চাইনিজ ভাষায় মুখস্থ করে রাখতে পারেন। প্রয়োজন দেখা মাত্রই কপি পেস্ট করবেন। তবে বিব্রত হবার জন্যে দায়িত্ব আপনাকেই বহন করতে হবে। ভুলে একটার উত্তর অন্যটায় হলেই সেরেছে।

এধরনের ঘটনা নিয়ে আপনাদের একটা জোকস বলি-

জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে যাওয়া উপলক্ষে কিছু ইংরেজি শিখেছে। এরপর যখন ওবামার সাথে দেখা হইছে তখন জিজ্ঞেস করছে: হু আর উই!

ওবামা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে উত্তর দিছে: আম হাজব্যান্ড অফ মিশেল ওবামা

তখন জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী বলছে: মি..... ঠু!


( কৌতুকটা নিতান্তই কৌতুক, এটা নিয়ে বাস্তবতার সাথে মিলানোর মত কিছু নেই )


Read More »
Tuesday, November 12, 2013

দিনের শেষে একলা এই আমি....




শীত দরজার কড়া নাড়ছে জোরে জোরে। ইতোমধ্যে দখিনা হাওয়া বন্ধ হয়ে উত্তরের হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিনের সূর্যতাপ ইদানীং আর আগের মত পীড়া দেয় না। আর দুপুর গড়িয়ে কোন রকম বিকলে হলেই ঝুপ করে অন্ধকার নেমে যায় চারদিক থেকে।

হ্যাঁ শীত একেবারেই দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছে।
পুরাতন কাঁথা আছে, কিন্তু এইবার শীতের তীব্রতা মনে হয় আমার এই কাঁথাকেও সহ্য করবে না। এখুনি রীতিমতো কাঁথা হাঁপিয়ে উঠে আমাকে উষ্ণ রাখতে গিয়ে।

একটু বাইরে গিয়েছিলেম বিকেলের দিকে একটা কাজে। ফেরার পথে মোড়ের চা'য়ের স্টল থেকে এক কাপ চা খাওয়ার লোভে পেয়ে বসলো। আর তাই গিয়ে সিদ্দিক মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। শীতের আগমন আর হরতালের উত্তাপ মনে হয় বেচারার ব্যবসাকে একটু মিইয়ে দিয়েছে। আর তাই সে অন্য যেকোনো সন্ধ্যায় ব্যস্ততার এই সময়টাকে আজ টিভি দেখে পার করছে। আমি গিয়ে দাড়াতেই জিজ্ঞাস করলো
- কেমন আছেন? আজ এই সময়? কোন কাজে গিয়েছিলেন নাকি?
- হ্যাঁ, একটু বেরুতে হয়েছিল। কিন্তু হরতালের কারণে কাজটা আজ আর হলো না। তাই চলে এলাম দ্রুতই।
- বসেন, কি দিবো আপনাকে?
- আপাতত এক কাপ চা দিও।

সিদ্দিক মিয়া ধীরে সুস্থে চা বানাতে শুরু করলো। চা প্রস্তুত করাটাও একটা আর্ট। কাপ ধোয়া, তাতে চিনি আর কনডেস্ট মিল্ক দেয়া, ছাঁকনি বসিয়ে তাতে কিছু আলাদা চা'পাতা দেয়া আর সব শেষে কেতলি থেকে গরম পানি ঐ ছাকনিতে ফেলা। ব্যাপারটা ঠিক এইভাবে মনোযোগ নিয়ে দেখিনি। আসলে সবসময় এত ব্যস্ততা থাকে যে, এইসব দেখার সময় কই থাকে হাতে?

সিদ্দিক মিয়া চা বানানো শেষ করে কাপটা এগিয়ে দিলো। আমি একটু আরাম করেই চা খাচ্ছি আর নিউজ চ্যানেল দেখছি সিদ্দিক মিয়ার দোকানের ভেতর দিকটায় বসে। রাজনীতির ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কথা বলছে উপস্থাপক। এগুলি শুনতে শুনতে আর ভাল লাগে না। তাই সিদ্দিক মিয়াকে বললাম চ্যানেলটা পাল্টে দিতে। সে বলল কিছুক্ষণ পর নাকি কোন মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসবে। মন্ত্রী কি বলে সেটা শুনতে সে নাকি অনেকক্ষণ ধরে এই চ্যানেলটাই দেখছে। আমি আর কথা বাড়ালাম না। চা খেয়ে চারটা সিগারেট নিয়ে দাম পরিশোধ করে চলে আসলাম।

নাহ, সময় বাড়ার সাথে সাথে উত্তরের বাতাসটাও বাড়ছে। একেবারে কাবু করে দিতে চায়। বিকেলে যখন বেরিয়েছিল তখন এতটা ঠাণ্ডা লাগবে বুঝতে পারলে চাদরটা সাথে করে নিয়ে বেরুতাম। কিন্তু তখন এমন হবে সেটা একটিবারের জন্যেও মনে হয়নি। আর কাজটা তো আরও সময় লাগতো, একবার ভেবেই নিয়েছিলাম যে আজ আর হয়তো আসা হবে না।

এখন বাসায় যেতে হবে। ভাতের রান্না করতে হবে। আলুসিদ্ধ করতে হবে। তারপর আলুভর্তা বানিয়ে খেতে বসতে হবে। নাকি চাল ডাল একত্রে বসিয়ে দিয়ে যেটা হয় ঐটাই করবো চিন্তা করতে করতে মেসে চলে আসলাম। হরতালের কারণে আগেই অনেকে বাড়িতে চলে গিয়েছে। দুই একজন যারা আছে তারা এই মুহূর্তে মেসে নেই। একেবারেই ঠাণ্ডা লাগছে মেসের পরিবেশ। অন্য সময়টাতে কারো কারো রুমে গান শুনতে পারতাম। সাথে তাদের টাস খেলার উচ্চ আওয়াজ। কিন্তু এখন সব নিস্তব্ধের আওয়াজ দিয়ে পরিপূর্ণ।

রান্না ঘরে গিয়ে ভাত বসিয়ে দিয়ে আসলাম। রুমে এসে পত্রিকাটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এখন সব খবরেই ঐ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা। এটা আর ভাল লাগে না। তাই পত্রিকা রেখে বাইরে আসলাম। মেসের বাইরে একটা ছোট্ট ফাকা জায়গা। প্রতিদিন বিকেলে কিছু ছেলে এখানে ক্রিকেট খেলত। এখন ব্যাডমিন্টন খেলবে কিছুদিন পর থেকে। সেটাও দেখার মত বিষয়।

কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালালাম। ধুয়াটা ছাড়লাম উপরের দিকে তাকিয়ে। ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় শীতের সময় মুখ দিয়ে ধোয়া ছাড়ার চেষ্টার করতাম এখনকার এই সিগারেটের ধোয়ার মত করে।

আহ! সময় কত দ্রুত চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই কোথা থেকে কোথায় চলে এসেছি। এখনো মনে পড়ে এতিম খানাটার কথা। ছোট্ট জায়গা, খাবার হয়তো ভাল ছিল না। কিন্তু আমার ঐ জায়গাটাই ভাল লাগতো। যখন একত্রে কষ্ট করতাম আমার মত আরও কয়েকজন মিলে তখন কাউকে আলাদা করে কিছু বলতে হতো না। সবাই কিভাবে যেন ঠিকই বুঝে যেত সমস্যাটার কথা। নিজেরাই অন্য কোন একটা বিষয় নিয়ে আসতাম সমস্যাটাকে পেছনে ফেলে দিতে।

কিন্তু মেট্রিক পাশ করার পর তারা আর আমাকে কোন ভাবেই রাখতে চাইলো না। আর তারপর কিছুটা হোঁচট খেয়েই চলে এসেছি এতদূর। রাত বাড়ছে, ঠাণ্ডাটাও বাড়ছে। উপরে তাকিয়ে আকাশের তারা গুলিকে দেখলাম। আর হারাতে লাগলাম তরার মৃদু মনোমুগ্ধকর উজ্জ্বলতায়....


Read More »
Saturday, October 19, 2013

রক্তের গ্রুপ দিয়ে মানুষের বৈশিষ্ট্য বিচার


৯০এর দশকের মাঝামাঝি প্রকাশিত “You and your Blood type” গ্রন্থে মানুষের রক্তের গ্রুপের ভিন্নতা নিয়ে তাদের বৈশিষ্ট্য ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞ “তসিকাতানমি” এবং “আলেকজেন্ডার বেলার”। চলুন দেখে নেই সেই রক্তের গ্রুপ বিবেচনায় ব্যক্তিত্বের  বিশ্লেষণ-


“A+” 

এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্মকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশ্বস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

“A-” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।

“B+” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনা বাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।

“B-” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিণামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।

“AB+” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনা বাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।

“AB-” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষণশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।

“O+” 

এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।

“O-” 

এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।





এত কিছুর পরও কথা থেকে যায়। আসলে মানুষকে শতভাগ কোন পরীক্ষা কিংবা পরিসংখ্যান দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব না। এই সব বৈশিষ্ট্যের অনেক পজিটিভ দিক যেমন মিলে যায় আবার অনেক নেগেটিভ দিকও অমিলেই থেকে যায়। তাই শতভাগ নিশ্চিত করে মানুষের বৈশিষ্ট্যের বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব না।
Read More »
Friday, September 13, 2013

সিনেমা থেকে উপলব্ধি : In Time (2011)


বেশ কিছুদিন আগে একটা মুভি দেখেছিলাম In Time শিরোনামের। এটা একটা সাইন্স ফিকশন মুভি। বর্তমানের জন্যে অসম্ভব এমন কিছু কল্পনা গুলোই দেখিয়েছে এটাতে। তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না থাকলেও কিছু জিনিষ আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভাল লেগেছিল।



যারা মুভিটি দেখেছেন তারা জানেন মুভিটির নামের যথার্থতা রেখেছে তার ঘটনাপ্রবাহের মধ্যদিয়ে। আমরা মুখে মুখে সবাই এখন বলে থাকি "Time is money"। আর মুভিটিতে তা সরাসরি প্রয়োগ করে দেখানো হয়েছে। গল্পকার এখানে জীবনের সময় সত্যিকার অর্থেই মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন।

আমি মূল ঘটনার পাশ কাটিয়ে কিছু একটা বলবো। মুভিটিতে দেখানো হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় সব কিছুই এখানে সময় বিনিময় করে নিজের করে নিতে হয়। সময় না থাকার দরুন সাধারণ জনগণ সেখানে রাস্তাঘাটে পড়ে থাকে, কেউ তার দিকে ফিরে পর্যন্ত চায় না। কেনই বা দেখবে? কি লাভ?? দেখতে গেলেই তো নিজের সময় নামের অর্থ ব্যয় হবে তার পেছনে।

অপরদিকে দেখানো হয়েছে সময়ের পাহাড় জমা করে তার উপর বিলাস বহুল জীবন পার করা একটা গোষ্ঠীকে। তারা শুধু আমোদ-ফুর্তি করেই তাদের সময় ব্যয় করে। নিজেদের ক্ষুদ্র সময় পর্যন্ত তারা কারো সাথে শেয়ার করতে রাজী না। সময় তাদের কাছে এত বেশি পরিমাণে মজুদ থাকার পরেও তারা ভয় পায়। ভয় পায় নিজেদের ক্ষুদ্র সময় নামের অর্থ গুলি চুরি যাবার..........


এখন বলুন, আমাদের বাস্তবতা কি এর থেকে অনেক ভিন্ন কিছু??
আমরা কি সত্যই নিজের কিছুটা সময় আর অর্থ ব্যয় করে কারো জন্যে একটু থেমে দাড়াই??
আর সমাজে যাদের সময় আর অর্থ দুইটাই আছে, তাদের সবাই কি কারো প্রয়োজনে নিজেদের হাতকে প্রসারিত করে??


Read More »
 
;